শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুরে এক তরুণী তার প্রেমিকের বিয়ের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর এখন সেই প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। প্রেমিক মোরশেদ মিয়া ঘটনার বেগতিক দেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন। গত চার দিন ধরে মেয়েটি মোরশেদের বাড়িতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি উভয় পক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবদাস গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক জনতার ভিড়। মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষ্ণবদাস গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে মোরশেদ মিয়ার সাথে একই গ্রামের মেয়েটির প্রায় পাঁচ বছর আগে লেখাপড়ার সুবাদে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় চার বছর আগে মেয়েটির পরিবার অন্যত্র বিয়ে দেয় এবং তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে, মোরশেদ এখনও অবিবাহিত এবং তাদের প্রেমের সম্পর্ক অক্ষুন্ন ছিল।
প্রায় সাত মাস আগে মোরশেদের বিয়ের আশ্বাসে মেয়েটি তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর গত ১৩ এপ্রিল সকালে মোরশেদ তাকে বাড়িতে ডেকে আনেন বিয়ের জন্য। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। ঝামেলা মধ্যে পড়ে পরিবার ও কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির সহায়তায় মোরশেদ পালিয়ে যান। তবে মেয়েটি তার অনশন অব্যাহত রেখেছেন এবং গত চার দিন ধরে বিয়ের দাবিতে মোরশেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং শত শত নারী-পুরুষ মেয়েটিকে দেখতে ভিড় করছেন। রহস্যজনক কারণে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনো সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রেমিক মোরশেদের মা বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি গ্রামবাসীদের কাছে এর বিচার চাই। সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া আমি কারও কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি।